হিপনিক জার্ক HYPNIC JERK

হিপনিক জার্ক HYPNIC JERK (সম্মোহনী হেঁচকা)

Information তথ্য

স্বপ্নের মধ্যে কোন উঁচু স্থান থেকে পড়ে যাওয়ার ভয়ে শরীর ঝাঁকুনি দিয়ে ঘুম ভেঙে যাওয়াকে হিপনিক জার্ক Hypnic Jerk (সম্মোহনী হেঁচকা) বলা হয়। ঘুমের মধ্যে আচমকা ঝাঁকুনিকে ‘হিপনিক জার্কস’বলা হয়। হিপনিক জার্ক দ্রুত হৃৎস্পন্দন, দ্রুত শ্বাস, ঘাম এবং কখনও কখনও “শক” বা শূন্যে পড়ে যাওয়ার মতো এক অদ্ভুত সংবেদনশীল অনুভূতির সাথে সম্পর্কিত। এটি কোনো স্বচ্ছ স্বপ্নের অভিজ্ঞতা বা হ্যালুসিনেশনও হতে পারে। অনিয়মিত শিডিউলে ঘুমায় এমন ব্যক্তিদের মধ্যে হিপনিক জার্ক অধিকহারে ঘটতে দেখা যায়। তদুপরি, বিশেষত যখন এটি ঘন ঘন এবং তীব্র হয়, তখন হিপনিক জার্ককে ঘুম-অনিদ্রার কারণ হিসাবে দেখা হয়।

এই ঝাঁকুনির ভিন্ন ভিন্ন নামও রয়েছে। যেমনঃ স্লিপ স্টার্ট (Sleep Start), মাইওক্লোনিক জার্ক (Myoclonic Jerk), হিপ্নাগোগিক জার্ক (Hypnagogic Jerk) প্রভৃতি। বিশ্বের প্রায় ৬০-৭০% মানুষ জীবনে একবার হলেও এই অভিজ্ঞতা লাভ করে এবং ১০% লোক প্রতিদিন এটি উপলব্ধি করে।

হিপনিক জার্কের কারণসমূহঃ

☞☞ অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যাফেইন বা চা-কফি জাতীয় পানীয় গ্রহণ।

☞☞ অতিমাত্রায় শারীরিক ব্যায়াম।

☞☞ রাতে স্ট্রেসফুল কোনো কাজ করলে।

☞☞ রাত জেগে টিভি দেখা বা মোবাইল অথবা ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর ফলে স্নায়ুর ক্রমাগত পরিবর্তনে শরীরে ঝাঁকুনির সৃষ্টি হয়। বিজ্ঞানের ভাষায় একে নারকোলেস্পি বলে।

☞☞ রোজ ঘুমানোর সময়ের অনিয়ম বা রাত জাগার বদভ্যাস, ওভার টায়ার্ডনেস বা অতিরিক্ত খাঁটুনীএই সমস্যাগুলো থেকেও হিপনিক জার্ক হতে পারে।

☞☞ স্ট্রেসফুল জীবন, অতিরিক্ত অ্যালকোহল বা ক্যাফেইন জাতীয় পদার্থ হিপনিক জার্ক হওয়ার পিছনে দায়ী

হিপনিক জার্ক থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়ঃ

হিপনিক জার্ক কোনো রোগ নয়। নিয়ম মেনে চললে বারবার এমন হওয়া থেকে অবশ্যই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। বয়স বাড়ার সাথে সাথে হিপনিক জার্ক ঘটার সম্ভাবনা কমে যায়। নিকোটিন বা ক্যাফিন জাতীয় উদ্দীপক গ্রহণ কমিয়ে দেওয়া, ঘুমানোর আগে শারীরিক পরিশ্রম এড়ানো এবং পর্যাপ্ত ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণ করে হিপনিক জার্ক হ্রাস করা যায়। কিছু ওষুধ হিপনিক জার্ক হ্রাস করতে বা দূর করতে সহায়তা করতে পারে। হিপনিক জার্কের কোনো নির্দিষ্ট পথ্য নেই। তবে কারও বেলায় ঘন ঘন এই সমস্যা হতে থাকলে তাকে অবশ্যই মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেয়া প্রয়োজন। জীবনযাত্রা পরিবতন, নিয়মিত হালকা ব্যায়াম ও চাপমুক্ত থেকে ব্যস্ততম সময়কে উপভোগ করতে পারলে খুব সহজেই হিপনিক জার্ক থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।