ইলিশ মাছের কথা শুনলেই, আমাদের সামনে ভেসে উঠে নানা পদের ইলিশের তরকারি। তা সে গরম ভাতে ভাজা অথবা যেকোন প্রকারের ঝোল-ই হোক না কেন। আর সরিষা ইলিশ হলে তো কথাই নেই। অনেকে পেয়াজ রসুন তরকারিতে পছন্দ করেন না বা খান না, আজ তাদের জন্য আলোচনা করবো কি করে পেয়াজ রসুন ছাড়া সরিষা ইলিশ(Sorshe Ilish) রান্ন করাযায়।

উপকরণঃ ৫/৬ জনের জন্য


১ টি ইলিশ মাছের ৬/৭ টুকরা
৩/৪ টেবিল চামচ সরিষা বাটা
১ চা চামচ আদা বাটা
১ চা চামচ হলুদ গুঁড়া
১/২ চা চামচ লাল মরিচের গুঁড়া
১ চা চামচ জিরে গুড়ো
১ চা চামচ ধনে গুড়ো
১ চা চামচ কালোজিরে
৩/৪ টা ফালি কাঁচামরিচ
৪ টেবিল চামচ/ পরিমাণ মত সরিষা তেল
স্বাদ মতো লবণ

প্রস্তুত প্রনালীঃ

প্রথমে ইলিশ মাছ পছন্দ মতো কেটে টুকরো করে পরিষ্কার পানি দ্বারা ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিবেন। এবার টুকরাগুলোতে হলুদ ও লবণ মাখিয়ে একটি পাত্রে রেখে দিন। গোটা সরিষা ১০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রেখে ছেঁকে বেটে নিতে হবে। সরিষা বাটার সময় সামাণ্য পরিমাণ লবণ ও ১/২ টা কাঁচা মরিচ দিয়ে বেটে নিলে তরকারি তেতো লাগবে না।
প্রথমে একটি পাত্রে পরিমাণ মতন সরিষার তেল নিতে হবে, তেল গরম হয়ে এলে, তাতে হলুদ গুঁড়া, আদা বাটা, লাল মরিচের গুঁড়া, জিরে গুড়ো, ধনে গুড়ো, কালোজিরে, স্বাদ মতন লবণ দেবার সময় লক্ষ্য রাখবেন (সরিষা বাটার সময় লবণ দেওয়া হয়েছিলো) ও সামাণ্য পানি দিয়ে ৩/৪ মিনিট কষিয়ে নিতে হবে। পাবর্তিতে ইলিশ মাছের টুকরো গুলো দিয়ে আরও ৩/৪ মিনিট রান্না করতে হবে, মাছগুলো উলটিয়ে দিতে হবে।
এরপর, সমন্ত সরিষা বাটা দিয়ে ও সামাণ্য পানি/পরিমাণ মত পানি, ফালি করে রাখা কাঁচামরিচ ও কাঁচা সরিষার তেল দিয়ে আরও ৪/৫ মিনিট রান্ন করে নিতে হবে। প্রস্তুত আপনার মজাদার সরিষা ইলিশ………..

বিঃ দ্রঃ সরিষা বাটার সময় সামাণ্য লবণ ও কাঁচা মরিচ দিয়ে বাটলে তরকারি তিতা লাগবে না। যারা কাঁচা মাছ খেতে পারেন না তারা মাছ সামাণ্য ভেজে নিতে পারেন। যাদের পেটের সমস্য হয় সরিষা বাটাতে, তারা সরিষা বাটার পরে, ভালো করে বাটা সরিষা ছাকনি দিয়ে ছেকে নিতে পারেন। প্রয়োজনে মাছ সামাণ্য ভেজে নিতে পারেন।

উক্ত সমন্ত মশলা যদি পাটায় বেটে দেওয়া যায় তবে আপনা রান্না স্বাদ হবে অতুলনীয়।