
মা-বাবার প্রয়ােজনীয় অভিভাবকীয় দক্ষতা থাকতে হবে যেন তারা শিশুর বয়স উপযােগী পারম্পরিক ক্রিয়ামূলক যত্ন দিয়ে শিশু-বিকাশে সহায়তা করতে পারেন। ঘরে এবং ঘরের বাইরে শিশু-বান্ধব পরিবেশ শিশুর বুদ্ধিমত্তা, মানসিক ও আবেগময় বিকাশের জন্য বিশেষ ভাবে সহায়ক।
নিরাপদ, সহায়ক ও শিশু-বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি এবং ক্ষতিকর আচার-আচরণ পরিহার করে শিশু-বিকাশের কৌশলঃ
শিশু-বিকাশের জন্য পারস্পরিক ক্রিয়ামূলক যত্নঃ
প্রতি দিন বারে বারে শিশুকে প্রতিদিনই পারস্পরিক ক্রিয়ামূলক যত্ন দিতে হবে এবং শুধুমাত্র একবার এই যত্ন দিলেই হবে না, বারে বারে দিতে হবে।
যেমনঃ শিশুকে আদর করা, চুমু দেয়া, মজার মজার গান শােনানাে, ছড়া বলা, গােসল করা ও খাওয়ানাের সময় বিভিন্ন বস্তুর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া ইত্যাদি। এগুলাে বার বার করতে হবে। শিশুর সাথে এই ধরনের পারস্পরিক ক্রিয়াগুলাে বার বার ঘটলে তাতে মস্তিষ্কের কোষগুলাে সক্রিয় হয়ে কোষের মধ্যে সংযােগ বাড়বে। এভাবেই বার বার ব্যবহৃত মস্তিষ্কের কোষের সংযােগগুলাে ক্রমান্বয়ে সুসংগঠিত হয় এবং স্থায়িত্ব পায় ।

পঞ্চইন্দ্রিয় ও হাত-পা ব্যবহারের মাধ্যমে। শিশুকে প্রতিদিনই পারস্পরিক ক্রিয়ামূলক যত্ন দিতে হবে যাতে শিশুর পাঁচটি ইন্দ্রিয় অর্থাৎ চোখ, নাক, কান, জিহ্বা ও ত্বকের যথাযথ ব্যবহারের সুযােগ থাকে । যেমনঃ
(ক) বিভিন্ন রং, গাছপালা, পশু পাখি দেখানাে (চোখ)।
(খ) ফুল, খাবার, ও অন্যান্য জিনিসের গন্ধ শুকতে দেয়া (নাক)
(গ) গল্প, ছড়া, গান শােনানাে ও বিভিন্ন পশু-পাখির শব্দের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া (কান)
(ঘ) বিভিন্ন স্বাদের যেমন টক, ঝাল, মিষ্টি খাবার দেয়া (জিহ্বা)
(ঙ) গায়ে, মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়া, তেল মালিশ করা, জড়িয়ে ধরে আদর করা (ত্বক)
এভাবে শিশু পঞ্চইন্দ্রিয় ব্যবহার করার সুযােগ পেলে, মস্তিস্কের সব অংশই সক্রিয় হবে এবং কোষের মধ্যে সঠিক সংযোগ হবে।