জীবনের প্রথম পাঁচ (৫) বছর শিশুর বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । কারণ এই সময় শিশুর বিকাশ খুব দ্রুত গতিতে হয়ে থাকে।
যত্ন দিয়ে শিশু-বিকাশে সহায়তা করতে পারেন। ঘরে এবং ঘরের বাইরে শিশু-বান্ধব পরিবেশ শিশুর বুদ্ধিমত্তা, মানসিক ও আবেগময় বিকাশের জন্য বিশেষ ভাবে সহায়ক।
০-৫ বছর বয়স সীমায় শিশুর মধ্যে কিছু বিশেষ লক্ষণ দেখা যায়।
যথাঃ
১. বুকের দুধ ছাড়াও নতুন খাদ্য খেতে শিখে।
২. একা একা চলাফেরা (হামাগুড়ি, হাটা) করতে শিখে।
৩. কথা বলতে এবং অন্যের কথা বুঝতে শিখে।
৪. মনের ভাব প্রকাশ করতে শিখে
শিশুর বিকাশের জন্য যা প্রয়ােজনঃ
• ভালােবাসা।
• কমপক্ষে ১জন পরিচর্যাকারীর (যেমন-মা,খালা, মামি, ফুপু, ভাই বােন, নানী ,দাদী, ইত্যাদি)সাথে ঘনিষ্টতা
• নিশ্চিত এবং নিরাপত্তা বােধের অনুভূতি।
• অন্যদের সাথে মেলামেশা করার সুযােগ।
• শিশুর সাথে কথা বলা এবং শিশুর ডাকে সাড়া দেওয়া।
• খেলাধুলা এবং চারপাশের পরিবেশ সম্পর্কে জানা ও খাপ খাওয়ানাের সুযােগ।
উপরােক্ত বিষয়গুলােতে একজন যত্নশীল পরিচর্যাকারীর সাহায্য প্রয়ােজন।

একজন যত্নশীল পরিচর্যাকারীর গুণঃ
একজন যত্নশীল পরিচর্যাকারীর নিম্নলিখিত গুণাবলী থাকতে হবে…………
১. শিশুর চাহিদা বােঝা এবং পূরণ করা
২. শিশুর সাথে ভালােভাবে মিলেমিশে থাকা।
৩. শিশুর সাথে খেলা ও শিশুর জন্য খেলার পরিবেশ সৃষ্টি করা।
৪. শিশুর সাথে গল্প করা। ৫. শিশুর প্রতি মনােযােগ দেওয়া
৬. শিশুর প্রতি স্নেহ প্রদর্শন।
৭. শিশুর জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা যেখানে শিশু খেলাধুলা এবং চারিপার্শ্বের পরিবেশ সম্পর্কে জানতে পারবে ।

শিশুর বিকাশের সহায়তার জন্য যা করতে হবেঃ
১. শিশুকে বেশি বেশি প্রশংসা করতে হবে ।
২. শিশুর সাথে বেশি বেশি কথা বলতে হবে।
৩. পরিচর্যাকারীকে নিজ হাতে ধরে শিশুকে শিখাতে হবে।
৪. শিশুকে নতুন কিছু শিখার সময় নিজে করে শিশুকে তা করতে বলুন।
৫. শিশুকে নিজের কাজ নিজে করার সুযােগ দিতে হবে।
৬. শিশুকে প্রতিটি কাজ শিখানাের সময় সে যেন আনন্দ পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
৭. পরিষ্কার ও নিরাপদ বস্তু দিয়ে শিশুকে খেলতে দিন।
৮. আপনার সুব্যবহারের মাধ্যমে আপনার প্রত্যাশিত আচরণটি শিশুকে দেখান।
৯. শিশুর সব প্রশ্নের জবাব দিতে হবে।
১০. শিশুর মধ্যে যেসব কৌতুহল দেখা দেয় তার প্রতি মনােযােগী হােন এবং ব্যাখ্যা করুন।
১১. শিশু যখন শব্দ করে কথা বলে তখন তার প্রতি সাড়া দিন।
১২. মাঝে মাঝে শিশুকে জড়িয়ে ধরুন।
১৩. শিশুর সাথে স্বাভাবিক ভাবে সামাজিক খেলা করুন- লুকোচুরি, টাটা দেয়া, হাততালি দেয়া
১৪. শিশু কোন ঝুকিপূর্ণ স্থানে গেলে তাকে ডেকে বিপদ বুঝিয়ে দিতে হবে
১৫. মারধর না করে শিশুকে সহজভাবে ভালমন্দ বুঝিয়ে দিতে হবে
১৬. আপনার সমস্ত কাজে শিশুকে অন্তর্ভূক্ত করুন
১৭. শিশু কোন কাজ না করতে পারলে তাকে মন খারপ করতে দিবেন না
১৮. শিশুকে গল্প বলুন এবং বই পড়ে শুনান।
জীবনের প্রথম পাঁচ (৫) বছর শিশুর বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সময় শিশুর বিকাশ খুব দ্রুত গতিতে হয়ে থাকে। শিশুর বিকাশের জন্য ভালােবাসা,নিরাপত্তা বােধের অনুভূতি,অন্যদের সাথে মেলামেশা করার সুযােগ,শিশুর সাথে কথা বলা, খেলাধুলা শিশুর ডাকে সাড়া দেওয়া ইত্যাদি খুবই প্রয়ােজন। সে কারণে শিশুর জন্য একজন যত্নশীল পরিচর্যাকারীর সাহায্য বিশেষ প্রয়ােজন।