পুষ্টিকর উপাদান নিশ্চিত করা এবং শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য শিশুকে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত অবশ্যই মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে। শিশুর বয়স ছয় মাস পূর্ণ হলে তাকে শাকসবজি ও ডিমের মতো পারিবারিক খাবার চটকে খাওয়াতে হবে। শিশুকে প্রতিদিন কমপক্ষে চার ধরনের খাবার খাওয়াতে হবে। যথা_ ভাত, ডাল, শাকসবজি, মাছ, মাংস, ডিম। চাল, ডাল, সবজি (যেমন মিষ্টিকুমড়া, গাজর, পেঁপে, আলু ইত্যাদি), পরিমাণ মতো তেল ও মসলাসহ খিচুড়ি তৈরি করে শিশুকে খাওয়াতে হবে। খিচুড়ি তৈরির সময় যে পরিমাণ চাল দেওয়া হবে তার অর্ধেক পরিমাণ ডাল দিতে হবে। শিশুকে মুরগির কলিজা খেতে দিতে হবে।

নবজাতকের পুষ্টিঃ

নবজাতক শিশুর একমাত্র খাদ্য মায়ের বুকের দুধ। বুকের দুধ শিশুর জীবন। ধারণ, পুষ্টি, বৃদ্ধিসাধন ও রােগ প্রতিরােধ ক্ষমা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। জন্মের পর। থেকে প্রথম ৬ মাস শিশুর জন্য খাদ্য ও পানীয় হিসাবে শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধই প্রয়ােজন এবং যথেষ্ট।

baby chef with healthy food vegetables and pan, isolated on white

শিশুর জন্য বাড়তি খাবারঃ

সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষমভাবে বেঁচে থাকার জন্য, শিশুর গঠন ও বৃদ্ধির জন্য পুষ্টিকর ও সুষম খাবার প্রয়ােজন। শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির জন্য শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধই যথেষ্ট নয়। তাই বুকের দুধের পাশাপাশি শিশুর বাড়তি খাবারের প্রয়ােজন হয়। কারণ মানব জীবনে শিশুকাল হচ্ছে তার পরবর্তী কর্মময় জীবনের ভিত্তি । নিম্ন লিখিত খাবার গুলাে দিয়ে সাধারণত শিশুর বাড়তি খাবারের চাহিদা পূরণ করা যায়। যেমনঃ

👉 কম তেল, মসলা সহযােগে চাল-ডালের খিচুড়ি

👉 দুধ দিয়ে রান্না করা সুজি

👉 ডিম সিদ্ধ, আলু সিদ্ধ বা ডাল চটকিয়ে

👉 টমেটো, কলা, আনারস, জাম্বুরা, বেল বা আম ইত্যাদি যে কোন মৌসুমী ফল বা ফলের রস।

👉 ভাত ও ডালের সাথে মাছ/ মাংস সিদ্ধ করে চটকিয়ে।

👉 বিভিন্ন শাক সবজী যেমন-ফুলকপি, সিম, বরবটি, ‘ইত্যাদি সিদ্ধ করে চটকিয়ে।

👉 আটার রুটি ডাল বা দুধে ভিজিয়ে ।

শিশুকে পরিপূরক খাবার খাওয়ানাের জন্য উৎসাহিত করার উপায়ঃ

👉 শিশুকে তার পছন্দ অনুযায়ী খাবার দিতে হবে।

👉 পারিবারিক খাবারে অংশ নিতে শিশুকে উৎসাহিত করতে হবে।

👉 খাওয়ানাের সময় শিশুকে নানা ভাবে উৎসাহিত করতে হবে। যেমন- যা বলতে পারেন। দেখ আমি খাচ্ছি কত মজার খাবার ইত্যাদি ।

👉 নিজেরা খাবার সময় শিশুকে ডাকতে হবে।

👉 শিশুকে বার বার খাওয়াতে হবে। কারণ তার পেট ছােট।