
মূলত মানুষ কোন না কোনভাবে রাষ্ট্রের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দক্ষতা ও মেধার প্রেক্ষিতে মানুষ একে অপরের উপর নির্ভর করে থাকে। অর্থাৎ রাষ্ট্র ব্যতীত কোন মানুষই সঠিকভাবে জীবন-যাপন করতে পারেনা।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শাব্দিক অর্থঃ Political Science শব্দের অর্থ হলো ‘রাষ্ট্রবিজ্ঞান’ । Political Science মূলত গ্রিক শব্দ ‘Polis’ থেকে আগত, যার অর্থ হলো নগর রাষ্ট্র।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞাঃ নগর রাষ্ট্রের সকল সমস্যা ও সমাধান নিয়ে যে শাস্ত্র আলোচনা করে তাকেই আমরা রাষ্ট্রবিজ্ঞান নামে অভিহিত করতে পারি। অর্থাৎ মানুষের জীবনের সাথে জড়িত সকল বিষয় নিয়ে যে সকল শাস্ত্র আলোচনা করে তাকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বলে।
প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ বিভিন্ন রাষ্ট্র বিজ্ঞানী তাদের দৃষ্টিকোন থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে যেভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন।
ম্যাক্সওয়েবারের মতে, রাষ্ট্রবিজ্ঞান একাধারে বাস্তববাদী ও আদর্শবাদী বিজ্ঞান, যা ন্যায়নীতি অনুসন্ধানের দিক থেকে মানব আচরণ সম্পর্কে আলোচনা করে। (According to Dr. Garner, “Political science begins and ends with the state.”)
অধ্যাপক গিলক্রিস্ট এর মতে, রাষ্ট্রবিজ্ঞান রাষ্ট্র ও সরকার নিয়ে আলোচনা করে।
লাসওয়েলের মতে, সমাজের অন্তর্ভুক্ত প্রভাব ও প্রভাবশালীদের ক্রিয়াকলাপের বিশ্লেষণ ও অর্থনৈতিক সমস্যা প্রভৃতির পর্যালোচনাই হলো রাষ্ট্রবিজ্ঞান।
According to Lord Acon, “Political science is concerned with the state & with conditions essential for its development.”
সুতরাং বলা যায়, রাষ্ট্রবিজ্ঞান এমন একটি বিজ্ঞান যা রাষ্ট্রের সকল দিক নিয়ে আলোচনা করে রাষ্ট্রকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে সহায়তা করে।
পরিশেষে বলা যায় যে, রাষ্ট্রবিজ্ঞান হলো সামাজিক বিজ্ঞানের সেই শাখা যা রাষ্ট্রের ভিত্তি ও সরকারের নীতিমালা নিয়ে আলোচনা করে। মূলত রাষ্ট্রবিজ্ঞান হলো রাষ্ট্রের উদ্ভব, বিন্যাস, উদ্দেশ্য, নৈতিক তাৎপর্য বিষয়ক কর্মকান্ডসমূহ।