অপুষ্টির কারণসমূহ ও অপুষ্টি প্রতিরােধ করার উপায়সমূহ

অপুষ্টির কারণসমূহ ও অপুষ্টি প্রতিরােধ করার উপায়সমূহ

বাংলা তথ্য

অপুষ্টির প্রধান কারণগুলি হল জনসংখ্যা, দারিদ্র্যতা, পুষ্টি সম্পর্কে অবগত না হওয়া, সচেতনতার অভাব ইত্যাদি। শিশুদের ক্ষেত্রে সঠিকভাবে খাদ্য গ্রহণ না করার পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবারের বদলে শিশুরা অনেকসময়ই বিভিন্ন পানীয়, জুস ও চিপস বা জাঙ্ক ফুড গ্রহণ করতে পছন্দ করে। জাঙ্ক ফুডের কারণেও শিশুদের শরীরে ক্ষতি হয়। প্রতিদিন সুষম খাবার খেলে ও শরীরের পর্যাপ্ত পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়।

অপুষ্টির কারণসমূহঃ

অপুষ্টি হচ্ছে প্রয়ােজনীয় পুষ্টি উপাদানের অভাব। সাধারণতঃ নিলিখিত কারণগুলাে বেশি দিন চলতে থাকলে অথ” সৃষ্টি হয় ।

• খাদ্য সুষম না হলে।

• পরিপাক ও পরিশােষনে ব্যাঘাত ঘটলে

• এক বা একাধিক পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি হলে

• পরিবারে খাদ্যের অভাব হলে, অপর্যাপ্ত খাবার থাকলে, পরিবারে খাদ্যের সুষম বন্টন না হলে।

• অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশের অভাব হলে

• মা ও শিশুর যত্নের অভাব হলে।

অপুষ্টি প্রতিরােধের উপায়ঃ

সাধারণত শিশুদের মধ্যে অপুষ্টিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সেই কারণে শিশুরা যখন মায়ের গর্ভে থাকে তখন থেকেই গর্ভবতী মায়ের পুষ্টিকর ও সুষম খাবার গ্রহণের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ ছাড়া জন্মের পর শিশু যাতে পুষ্টি পেতে পারে। সেদিকেও আমাদের সবার খেয়াল রাখা প্রয়ােজন।

গর্ভাবস্থায়ঃ

• সকল গর্ভবতী মহিলাকে গর্ভকালীন সেবা ও পুষ্টি পরামর্শের জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হবে।

• গর্ভকালীন সময়ে মাকে সঠিকভাবে সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে ।

শিশু জন্মের পরেঃ

• জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে শালদুধ দিতে হবে। শিশুর ছয় মাস বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে।

• শিশুর বয়স ছয় মাস পূর্ণ হলে, মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে বাড়তি সুষম খাবার দিতে হবে।

• নয় মাস বয়সে শিশুকে হামের টিকার সঙ্গে একটি ভিটামিন এ ক্যাপসুল (১,০০,০০০আইইউ ) খাওয়াতে হবে ।